সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্কঃ
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ লকডাউন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যার কলকাতা বিশেষত দক্ষিণ কলকাতার একটা বড় অংশ ভ্রমণ করার পর আমাদের উপলব্ধি বর্ণনা করলাম।

শুরু করেছিলাম আমরা বেহালা থেকে, তারপর তারাতলা, নিউআলিপুর, টালীগঞ্জ হয়ে আমরা পৌছাই প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ক্রশিং, এই জায়গায় কিছু লোকের ছোটো আকারে জমায়েত চোখে পড়ে, তবে সেটা দুই-চার জনের বেশী নয়।

এরপর আমরা যাদবপুর থানা হয়ে ঢাকুরিয়া-গড়িয়াহাট-বালিগঞ্জ হয়ে এসে হাজির হই পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে। এখানে ইতিউতি কিছু মানুষ নজরে পরে। পার্ক সার্কাস ময়দানে যে এনআরসি বিরোধী জমায়েত ছিল সেটি এখন উধাও।

চারিদিকে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কিছু ছবি তুলে আবার আমরা গড়িয়াহাট-গোলপার্ক-যাদবপুর হয়ে 8বি বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়াই। এখানেও আমরা মানুষের তেমন কোনো জমায়েত দেখিনি।



কিছু অনিয়মিত বাস, কিছু লাল কাপড় নাড়তে নাড়তে চলে যাওয়া ট্যাক্সি ও প্রাইভেট কার, সামান্য কিছু মোটরসাইকেল আরোহী, ফুড ডেলিভারী এপের কিছু বাইক সওয়ারী এবং ঘন ঘন কিছু পুলিশের বিভিন্ন মাপের গাড়ি আমরা গোটা সফরেই দেখতে পাই, তবে স্বাভাবিক পরিস্থিতির তুলনায় সেটা হয়ত পঞ্চাশ ভাগের একভাগ।


এরপর আমরা গড়িয়া মোড়ের দিকে এগোতে শুরু করি, পথে গাঙ্গুলীবাগানে ছোট আকারের সব্জী বাজার চোখে পড়ে, তবে মানুষ প্রায় নেই। এখান থেকে এনএসসি বোস রোড হয়ে করুণাময়ী ব্রীজের দিক থেকে সিরিটি শ্মশানের দিকে মোড় নিতেই দশ-বারোজনের জমায়েত আমাদের চোখে পড়ে। বোঝা যাচ্ছিল এরা স্থানীয়, একদম রাস্তার পাশে বাড়ি। আমাদের হাতে ক্যামেরা দেখে কেউ কেউ মুখ লোকাচ্ছিল। বেশ কিছু ওষুধের দোকান খোলা অবস্থায় দেখতে পাই, প্রতিটি দোকানেই কম বেশি তিন-চার জন ক্রেতা গড়পড়তাভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।

আমাদের সফর শেষ করার পর এটাই মনে হল, পুলিশ-প্রশাসন যতটা সম্ভব তার চেয়ে বেশী চেষ্টা করছে, শুধু কিছু কিছু নাগরিকদের আরও সচেতন হতে হবে।
প্রতিবেদনে সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও আকাশ ঘোষ।