সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সল্টলেকের এক বেসরকারী হাসপাতালে সরকারি মতে করোনার কবলে প্রথম মৃত দমদমের এক ৫৭ বছরের প্রৌঢ়।
সুত্রের খবর গত শনিবার তার শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। মৃত্যুর পর তার পরিজন দেহ সৎকারে বিমুখ থাকায় স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে তা করা হয়। যদিও প্রথমে শববাহী গাড়ি মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে এবং তারপর বিধাননগর পুরসভার নিজের গাড়িতে তা নিমতলা শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেয়। ইট পাটকেলও ছোড়া হয় পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্য করে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনীর প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
কিছুদিন আগে দিল্লিতেও ঠিক একই ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় প্রশাসনকে। দাহর পর সংক্রমণের আশঙ্কা নেই তা অনেক বোঝানোর পর অঞ্চলের বাসিন্দারা আশ্বস্ত হয় এবং সৎকার সম্পন্ন হয়।
দমদমের মৃত প্রৌঢ়ের পুত্র বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় ও আসতে অপারগ হওয়ায় প্রশাসনের কাছে আবেদন রেখেছেন বাবার চিতাভষ্ম সংরক্ষনের ও পরে তা পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।
মানুষের এই অজ্ঞতা এবং অমানবিক মুখের সাথে রাজ্য তথা দেশ পরিচিত না, তবে আশার কথা এটাই যে শহরে এখনও অব্দি কোন নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।