সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্কঃ
গত ২৪ ঘন্টায় লন্ডনে করোনা-আক্রান্ত বৃদ্ধির হার ৪৫%। শুক্রবার ৬৮৪ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় সেই আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছে, জানা গেছে মৃতদের মধ্যে দু’জন নার্সও রয়েছে । লন্ডনে বর্তমানে প্রতিদিন মারা যাওয়ার সংখ্যা চীনের উহান শহরের চেয়েও বেশি। এমনকি পাঁচ বছরের বাচ্চারও এই রোগে মৃত্যুর হাত থেকে নিষ্কৃতি নেই। ইংল্যান্ডে সর্বশেষ করোনা মৃতদের মধ্যে ২১২ জন মিডল্যান্ডের অধিবাসী যা কোভিড-১৯ এর মুলকেন্দ্র লন্ডনের ১২৭ জনের থেকে প্রায় দ্বিগুন। ক্যাবিনেট মিনিস্টার মাইকেল গভ বলেন, বার্মিংহাম জাতীয় প্রদর্শনীকে ২০০০ শয্যবিশিষ্ট নাইটিংগেল হাসপাতালের একটি করোনা ইউনিটে পরিনত করা হয়েছে। এটি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তার কাজ শুরু করে দেবে পুরোদমে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীফ নার্স রুথ মে কাতর আবেদন করেন যে দুজন সহকারি নার্স এই মহামারীতে মারা গেছেন তাঁদের অবস্থার কথা এবং পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে কেউ যেন ঘর থেকে না বেরোয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইতালি এবং স্পেনে যে হারে মানুষ মারা যাচ্ছে, এরপর যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা সেই অনুপাতে হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্পেনে বর্তমানে ১১ হাজার একশ ৯৮ জন মারা গেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে সাত হাজার তিনশ ৯২ জন এবং ইতালিতে সেই সংখ্যা ১৪ হাজার ছয়শ ৮১ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন, করোনার ব্যাপারে মানুষজনকে সচেতন করতে হবে। তাদের নিরাপদে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। কোনোভাবেই তাদের আতঙ্কিত করা যাবে না।