সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্কঃ
মঙ্গলবারের একটি সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কিছু কর্মীকে লকডাউনের মধ্যেও ছাড় দেওয়া হবে। এর মধ্যে আছে ফুল ও বিড়ির মত ক্ষেত্রগুলি। লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ আর্থিক সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনকে ফুলের বাজার ও ‘বিড়ি’ তৈরির ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল সম্পর্কে তিনি বলেন, “বাংলা দরিদ্র মানুষের একটি রাজ্য এবং এখানে আমাদের খুব বেশি শিল্প নেই। ক্ষুদ্র অনুদান পাওয়া যাচ্ছে তবে আরও অবদানের প্রয়োজন।”
দুধ ফেলে দিতে হচ্ছে বলে নির্দিষ্ট সময়ে মিষ্টির দোকান খোলার ব্যবস্থা আগেই করেছিলেন তিনি, এ বার বিড়ি শ্রমিক ও ফুলচাষিদের উপার্জনের রাস্তা খুলে দিলেন। দীর্ঘ লকডাউন পর্বে রোজগার একেবারে বন্ধ থাকলে সামাজিক সমস্যা আরও বাড়বে তাই সরকার সামাজিক দুরত্ত্বের বিধি মেনে কিছু ব্যবসাকে ছাড় দিলেন। পরস্পরের সঙ্গে দু মিটার দুরত্ত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা বিড়ি বাঁধবেন বলে তিনি নির্দেশ দেন। ফুলচাষিরা ফুল নিয়ে ফুলবাজারে গেলে পুলিশ বাধা দেবে না। ফুলবিক্রেতাও মাল এনে এলাকায় বিক্রি করতে পারবেন। কিষাণ মান্ডিগুলিও খোলা রাখার অনুমতি মিলেছে।
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২৩ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক আছে। তাই সামাজিক দুরত্ত্ব বজায় রেখে কিভাবে কাজ করা সম্ভব সে প্রশ্ন অবশ্য থেকেই গেল কারন প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা রাজ্য তথা দেশে বেড়েই চলেছে।