সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্কঃ
গতকাল সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করে এবং প্রায় সবার সায় নিয়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হোল ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত। আগামী ৩/৪ সপ্তাহ অত্যন্ত জরুরী এই মারন ভাইরাসের গতিবিধি জানার জন্য, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায় দেশবাসীকে বলেন, “জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়।” অর্থাৎ আগে প্রাণে বাঁচতে হবে তারপর সবকিছু। তাই সবার ঘরে থাকার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল বলেন,” প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র শিল্পাঞ্চল্গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি হোল লাল, কমলা এবং সবুজ যেখানে সীমিত সংখ্যক শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব নিয়ে কারখানায় কাজ করবে এবং সেখানেই রাত্রে থাকবে। হটস্পট নির্দেশিত অঞ্চল হবে রেড জোন, যেখানে সর্বাধিক নিয়ন্ত্রন থাকবে অবাধ প্রবেশের। কমলা জোন থাকবে সে তুলনায় অল্প নজরদারীর মধ্যে। যে অঞ্চলে প্রায় নগন্য আক্রান্তের সংখ্যা তা চিহ্নিত হবে সবুজ জোনে। এই ভাবে অল্প অল্প করে উৎপাদন চালু করা হবে আপাতত। ” সব অঞ্চলে লকডাউন থাক কিন্তু আমরা চাই এরমধ্যেই যথাসম্ভব উৎপাদন শুরু করার”, লাল বলেন।
একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে লকডাউন বৃদ্ধি নাহলে ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের হার প্রায় ৮.২ লাখ ছুঁত। তবে যথাযথ সময়ে তা হওয়ায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৫২৯। শনিবার দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪২ এবং গত ছয় দিনে তিনগুণ বেড়েছে। সংক্রামিত রোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্য প্রদেশ এবং তেলঙ্গানার মতো রাজ্যেও এই কেন্দ্রকে লকডাউন প্রসারিত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল তাই সবদিক মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।