
সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্কঃ
প্রতিদিন গোটা বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশ প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কোনভাবে আর্থিক অবস্থা সবল করার, উৎপাদন শুরু করার।
ইরান, এখনও অব্দি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির একটি, উপায় খুঁজছে অর্থনীতিকে কোনভাবে সুদৃঢ় করার। শনিবার থেকে জাতীয় লকডাউনের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে কয়েকটি সরকারী দফতর ও দোকানপাট, কারখানা ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবার চালু হতে শুরু করে। রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে অর্থনৈতিক ও সরকারী কার্যক্রম অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। শনিবার, তিনি বলেছিলেন যে মানুষের এখনও সামাজিক দূরত্ব পালন করা উচিত। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সতর্কতা সত্ত্বেও এই ব্যবস্থা পুনরায় খোলার ফলে অতিরিক্ত কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কিছু দেশ এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কিভাবে বিধিনিষেধ মেনে স্বাভাবিক জীবন চালু করা যায় তার পরিকল্পনা করছে।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত দেশ স্পেন তার কিছু কর্মচারীকে সোমবার কাজে ফিরতে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি ২০ শতাংশের তুলনায় দেশটিতে এখন মৃত্যুর হার কমে প্রায় ৩ শতাংশ।
স্পেনের মত ইতালিও মঙ্গলবার বর্তমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কিছু বইয়ের দোকান, শিশুদের পোশাকের দোকান এবং কিছু বনাঞ্চল সম্পর্কিত পেশাগুলি পুনরায় কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেবে।
অস্ট্রিয়া এই সপ্তাহের শেষে ছোট দোকানগুলি আবার চালু করার পরিকল্পনা করছে। চেক প্রজাতন্ত্র ছোট ছোট দোকান খুলছে এবং লোকেরা টেনিস খেলতে এবং সাঁতার কাটতে যাতে পারে তার ব্যাবস্থা করেছে। ডেনমার্ক আগামী সপ্তাহে কিন্ডারগার্টেন এবং স্কুলগুলি আবার খুলতে পারে। নরওয়ে শিক্ষার্থীদের কিন্ডারগার্টেনে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে।
এইভাবে বিশ্বের প্রতি দেশই একটু একটু করে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও।