-Advertisement-

করোনা সংকটে ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় ডাক বিভাগ

দেশের খবর
সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবিঃ সংগৃহীত

সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্কঃ

-Advertisement-

ভারতীয় ডাক বিভাগের লাল গাড়িতে চিঠি বিলি আমাদের কাছে খুব পরিচিত দৃশ্য। প্রায় ৬ লক্ষ গ্রামে ছড়িয়ে আছে ডাকঘরগুলি। ডাক পরিষেবা এখন চিঠিপত্র এবং পার্সেল সরবরাহ করার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করে। এটি কয়েক লক্ষ ভারতীয়দের জন্য একটি ব্যাংক, পেনশন তহবিল এবং প্রাথমিক সঞ্চয় উপকরণও।

করোনা সংকটে ডাক বিভাগ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এখন এটি চিকিত্সা সরঞ্জাম ও ওষুধগুলি যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে পৌঁছে দিচ্ছে এমন সময়ে যখন পরিবহণ স্থবির হয়ে পড়েছে। গত ২৪ শে মার্চ থেকে অপ্রত্যাশিত লকডাউনে যেখানে সারা দেশ স্থবির হয়ে পরেছিল তখন ডাক কর্মীরা তাঁদের জীবন বিপন্ন করে কখনো সড়কপথে, কখনো পন্যবাহী বিমানে নিরন্তর তাঁদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যাতে সাধারন মানুষ ন্যুনতম সুবিধাটুকু পায়।

-Advertisement-

যোগাযোগ মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন,” আমি ডাক বিভাগের সেক্রেটারিকে নির্দেশ দিয়েছি স্পিড পোস্টের দ্বারা সমস্ত ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম যতটা তাড়াতাড়ি পারা যায় পৌঁছে দেবার জন্য এবং সমস্ত কর্মীকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে যাতে কেউ কোনরকম অসুবিধায় না পরেন জীবনদায়ী পন্য পাওয়ার জন্য।”

-Advertisement-

প্রসঙ্গত, নদীয়া জেলার দেবগ্রামের পোস্ট মাস্টার সঞ্জিত হালদার (৪৮) গত ২১শে মার্চ ঠিক লকডাউনের আগে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরেন। এরপর লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর তিনি কোনমতেই কর্মস্থলে ফিরতে পারছিলেন না। অবশেষে ২ রা এপ্রিল কোন উপায় না দেখে তিনি নিজের সাইকেল নিয়ে তাঁর গড়িয়ার বাড়ি থেকে সকালবেলা রওয়ানা দেন নদীয়ার উদ্দেশ্যে সঙ্গে দুটো বিস্কুটের প্যাকেট ও এক বোতল জল নিয়ে। গড়িয়া থেকে দেবগ্রামের দুরত্ত্ব প্রায় ১৬০ কিমি। প্রায় ১২০ কিমি পথ তিনি অমানুষিক পরিশ্রমে সাইকেল চালিয়ে পার হন। এরপর অসুস্থ বোধ করলে স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে একটি সব্জির গাড়িতে তাঁকে নদীয়া পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হয়। পরে তাঁকে এ বিষয়ে জিগ্যেস করা হলে তিনি বলেন,” সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পারলে অনেক বয়স্ক মানুষের পেনশন আটকে যেত। অনেক প্রয়োজনীয় পার্সেল বা অর্থ ঠিকসময়ে যেত না মানুষের কাছে।”

এইভাবে প্রত্যেকে নিজের জীবন তুচ্ছ করে প্রতিনিয়ত সেবা ও কর্তব্য করে চলেছেন এই টালমাটাল মুহূর্তে। আমাদের উচিত তাঁদের সম্মান ও কুর্নিশ জানানো।

Share this page:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

-Advertisement-