
সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্কঃ
“এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে।” আজ জীবনমুখী গানের জনক নচিকেতার এই গানটি বোধহয় আপামর বাঙ্গালীর কাছে সবচেয়ে বড় আশার বানী। রবীন্দ্রনাথের সময় থেকে শুরু করে আধুনিক সমস্ত কবিতা ও গানে ঘরে থেকে বর্ষবরণ ১৪২৭ কে এক নতুন আঙ্গিকে নিয়ে এল।
করোনার থাবায় ক্ষতবিক্ষত, জর্জরিত পৃথিবী তথা ভারতবাসী আজ বড় কষ্টে, আশাহীনতায় ভুগছে। এরমধ্যেই এসে পড়েছে বাঙ্গালীদের নতুন বছর। প্রতিবার মানুষ এইদিন সকাল থেকেই হালখাতা ও প্রিয়জনদের সাথে দেখা, আড্ডা, গল্পে, সুস্বাদু খাদ্য নিয়ে উদযাপন করে। এ বছর তার ব্যাতিক্রম। উৎসবপ্রিয় বাঙ্গালী উৎসব না করেই ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ঘর ছেড়ে দূরে থাকা প্রিয়জনের চিন্তায় মন ভারাক্রান্ত তাঁদের। কি জানি কি হয়- এই আশঙ্কায় প্রহর গুনছে সারাক্ষণ।
তবু আমরা আশাবাদী। একদিন এই ঝড় কাটিয়ে সূর্যের মুখ দেখবো, পৃথিবী সত্যিই শান্ত সুস্থ হবে আবার আগের মত এই আশা মনে রেখে আসুন আমরা ঘরে বসেই পালন করি নতুন বছর এবার।