সংবাদ ভাস্কর নিউজ :: বিভিন্ন সুত্রের খবর : আমাদের এই অসীম মহাবিশ্বে রয়েছে অগণিত মহাজাগতিক বস্তু যারা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের এই বিশাল মহাকাশে। কিন্তু কিছু মহাজাগতিক বস্তু আবার মাঝে মাঝে আমাদের সোলার সিস্টেমে ঢুকে পড়ে যারা হয়তো অন্য কোনো সোলার সিস্টেম থেকে এসেছে। এমনি এক মহাজাগতিক বস্তু অন্য সোলার সিস্টেম থেকে আমাদের সোলার সিস্টেমে ঢুকে পড়েছিলো আর আমরা নিশ্চয়ই সেটি সবাই জানি। সেই মহাজাগতিক বস্তুটির নাম ছিলো “Oumuamua.” মহাজাগতিক বস্তু বলতেই আমরা বুঝি গ্রহাণু, উল্কা, মহাজাগতিক ধূলিকণা ইত্যাদি কিন্তু মহাকাগতিক বস্তু আমাদের এই মহাবিশ্বে রয়েছে অগণিত। তেমনি Asteroid বা গ্রহাণু হলো সেই সকল মহাজাগতিক বস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম। Asteroid বা গ্রহাণুর নাম শুনে নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া নিতান্তই দুঃসাধ্য ব্যাপার। প্রতিনিয়তই পত্রিকাতে কমবেশি আমরা পৃথিবীতে গ্রহাণু, উল্কাদের আঁচড়ে পড়ার খবর পড়ে থাকি কিংবা খবরে তা শুনতে পাই। প্রতিনিয়ত অসংখ্য গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীর পাশ ঘেঁষে চলে যাচ্ছে। যারা জানেন না তাঁদের মনে প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক যে কি এই গ্রহাণু? চলুন তবে তা জেনে আসা যাক।

আপনারা কি জানেন আমাদের এই মহাবিশ্বের এতো অসংখ্য গ্রহাণুগুলো কোথায় অবস্থান করে? অধিকাংশ গ্রহাণুই “মঙ্গল (Mars) এবং বৃহস্পতি (Jupiter) গ্রহের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত “গ্রহাণু বেল্টে (Asteroid Belt)” অবস্থান করে। এরা এই গ্রহাণু বেল্টে থেকে নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে আবর্তন করে। ধারণা করা হয় যে গ্রহাণুগুলো “Protoplanetary Disc” এর অবশিষ্টাংশ। কিছু গ্রহাণুর আবার চাঁদও রয়েছে।

২০২০ সাল নাগাদ অর্থাৎ আগামী বছরের দিকে প্রকান্ড এক গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন। তো এখন অনেকেরই জানার ইচ্ছে জাগবে যে কতোটা বড় হতে পারে এই গ্রহাণু? NASA-র “Center for Near Earth Object Studies (CNEOS)” এর তথ্যমতে, গ্রহাণুটি প্রস্থে ৪ কিলোমিটার অর্থাৎ এর ব্যাস ১৩৫০০ ফুট এবং উচ্চুতায় পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ Mount Everest এর অর্ধেক। এই তথ্য শোনার পর নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন যে কতোটা প্রকান্ড এই গ্রহাণুটি। এই গ্রহাণুটির নাম রাখা হয়েছে 1998 OR2. মার্কিন গবেষণা সংস্থা NASA-র “Center for Near Earth Object Studies (CNEOS)” থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, এই গ্রহাণুটি যখন ২৯শে এপ্রিল, ২০২০ সালে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে এর দিকে যখন পৃথিবীর পাশ ঘেঁষে যাবে তখন তা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ৬.৩ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করবে। তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে “Yarkovsky Effect” এবং “Gravitational Keyhole” এর কারণে গ্রহাণুটির পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।