সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্কঃ ৮ ই জুন থেকে শহরে লকডাউন অল্প শিথিল হওয়ার পর সরকারী হাসপাতালগুলির বহির্বিভাগে চূড়ান্ত নিয়মভঙ্গ চোখে পড়লো। আর জি কর, এন আর এস বা এসএসকেএম এই তিনটি হাসপাতালে রোগী ও তাদের আত্মীয়-পরিজন কার্যত শিকেয় তুলে দিল সমস্তরকম সামাজিক দুরত্ব ও বিধিনিষেধ।
প্রতিটি হাসপাতালে সকাল থেকেই মাইকে সমানে ঘোষণা করা হচ্ছিল মাস্ক পরা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য। কিন্তু চিকিৎসার জন্য আসা মানুষরা তাতে ভ্রূক্ষেপ না করে এক জায়গায় জটলা করার পাশাপাশি মাস্ক না পরার মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেই যাচ্ছিল।
এছাড়া লকডাউনের পর প্রতিটি বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ দিন আর জি করের বহির্বিভাগে নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৫০। লকডাউন চলাকালীন যা তিন-চারশোর মধ্যে ছিল। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে রোগীর সংখ্যা ছিল ১০৬৯। নতুন রোগী ৮৩২, পুরনো রোগী ২৩৭। এসএসকেএমে নতুন রোগী ৩২৩৭, পুরনো অন্তত ২০০০। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ১১১৪। প্রায় এক মাস পরে এ দিন বহির্বিভাগ চালু হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নতুন-পুরনো মিলিয়ে রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৫৯ জন।
রক্ষীর সংখ্যা বাড়িয়ে এবং তাদের মধ্যে সুসমন্বয় রেখেও নিয়মরক্ষা করতে কার্যত ব্যর্থ হাসপাতাল প্রশাসন। দুর্ভাগ্যবশত এই সবকিছুর পেছনে দায়ী একশ্রেনীর মানুষের অনড় মনোভাব ও নিয়ম ভাঙ্গার প্রবনতা।
…ARC