সংবাদ ভাস্কর : গত শুক্রবার ২০২০ , প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে সর্বদল বৈঠকে শুক্রবারে এই মনোভাব প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তাঁর ক্ষোভ, পুলওয়ামা হামলার পরেও তিনি সব দলকে ডেকে আলোচনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তখনও কেন্দ্র সেই পথে হাঁটেনি। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার এবং প্রতিটি দল মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ।
মমতার মতে, চিনের সে দায় নেই। বিরোধীরা সহযোগিতায় প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র তাদের পাশে নিতে তৎপর নয় বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা।
গত ১৯ এপ্রিল লাদাখ সীমান্তে চিনের তৎপরতার বিষয়টি ভাল ভাবে নজরে আসে। তখন কেন্দ্রের কাছে কী গোয়েন্দা-তথ্য ছিল এবং তা নিয়ে আরও আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না কেন?
লাদাখ সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের বিষয়ে মমতা বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী সেখানে গোলাগুলি চালানো স্থগিত। কিন্তু যে হাতিয়ার চিন ব্যবহার করেছে, তা কোনও অংশে কম ভয়ঙ্কর নয়। মমতার কথায়, ‘‘এ তো বিষাক্ত কাঁটার ঝাঁক!’’ ।
মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে – যেভাবে ভারত এবং অন্যান্য দেশগুলি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যস্ত , ঠিক সেই সময়েই করোনা পরিস্থিতির ফায়দা তুলে চীন এই নোংরা পদক্ষেপ নিয়েছে ।
এখন যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে , সেই সিদ্ধান্তের সমর্থন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তবে পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব রেখেছেন যে টেলিকম , রেল ও বিমান চলাচলের মত যে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি রয়েছে সেইগুলো এই মুহূর্ত থেকে চীনকে বাদ দিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিত ।
এতে কিছু অসুবিধা হতে পারে , কিন্তু দেশের হাতে যা আছে তা দিয়েই কাজ সেরে নেওয়া সম্ভব । কোথায় কোন তথ্য কী ভাবে চিনের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে, এখন সেই বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
চীন কীভাবে আপনার কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করছে , সতর্ক করলেন – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় –
-Advertisement-