সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্ক : আমি অনেক বোকা হতে পারি, অনেক খারাফ ছাত্র হতে পারি, আমি অনেকের কাছে খারাফও হতে পারি । কিন্তু আমার মায়ের কাছে আমি তার শ্রেষ্ঠ সন্তান ।
পৃথিবীটা অনেক কঠিন, সবাই সবাইকে ছেড়ে যায়, সবাই সবাইকে ভুলে যায়, শুধু একজন যে ছেড়ে যায় না আর সারা জীবন থাকবে সে মানুষটি হচ্ছে — “মা” ।
সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিকরা এমন একটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে যেখানে এক মা মৃত্যুর পরেও পরম মমতায় জড়িয়ে ধরে রেখেছেন তার সন্তানকে । বিজ্ঞানীদের অনুমান এই কঙ্কালটি মোট ৫০০ বছর পুরনো । ২০১৪ সালে তাইওয়ানের পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় দুই মাইল ভেতরে নিওলিথিকল বলে একটি জায়গায় খনন কাজ চালাচ্ছিলেন নৃতাত্বিকেরা। খননকাজটি নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন তাইওয়ানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব সায়েন্সের চু হুই-লি ।
সেই সময় একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছিলেন তারা । সম্প্রতি জানা গিয়েছে এই উপকূলীয় স্থানটিতে একসময় গ্রাম ছিল। যার নাম ছিল আন-হো। এখানে অনেক মানুষের বাস ছিল। উপকূলীয় জায়গা হওয়ায় এখানকার মানুষ হয়তো হাঙ্গর শিকার করে খেত। এই পুরো অঞ্চল জুড়ে ২০০টিরও বেশি হাঙ্গরের দাঁত এবং হাড় পেয়েছিলেন তারা। এখানকার লোকেরা দাবেনকেং উপজাতির লোক ছিল বলেও ধারণা করেন গবেষকরা ।
খনন কাজ করতে করতে ওই এলাকায় মোট ৪৮ টি সমাধি আবিষ্কৃত হয়। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল শিশুদের। বাকিগুলো প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষদের । তাদের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে সেই নিয়ে এখনও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন । কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা যায়, সমাধিটি চার হাজার ৮০০ বছর পূর্বের। যেসময় পাথরের ভিতরে মানুষকে সমাধি দেয়া হতো। মায়ের ডান বাহুতে শিশুটি ছিল এবং তার মুখটি শিশুর দিকে করা ছিল। এটি পাঁচ হাজার বছর আগেরও হতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। বর্তমানে এটি তাইওয়ানের ন্যাশনাল যাদুঘরে রাখা আছে। সেখানকার গবেষকরা এখনো এই সমাধি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। মরে গিয়েও সন্তানকে আগলে রেখেছেন মা। কি হয়েছিল এই মা ও শিশুটির। কিভাবেই বা তারা মারা গিয়েছিল? নাকি তাদের জীবিত কবর দেয়া হয়েছিল? তা সবই প্রশ্ন এখনো। বিস্তর গবেষণার পরে হয়তো জানা যাবে এই মায়ের তার শিশুকে এতো বছর আগলে রাখার কাহিনী ।
সূত্র – bbpnews24x7