“লকডাউনে ৪ মাস দেখা করা সম্ভব হয়নি স্বামীর সঙ্গে , আর বাঁচতে চাই না” হোস্টেলেই আত্মঘাতী জুনিয়র ডাক্তার –

সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্ক : জুনিয়ার চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হোস্টেলের ঘর থেকে ।
আত্মঘাতী ওই চিকিৎসকের নাম মানসী মণ্ডল । দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি ছাত্রী । হোস্টেলের ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল ।
হোস্টেল সূত্রে খবর ওই ছাত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ এন্টালি থানার পুলিস ঘরের দরজা ভেঙে আত্মঘাতী জুনিয়র চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে । পুলিশ ঘরের ভেতর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে ।
পুলিস সূত্রে খবর – সেই সুইসাইড নোটে মানসিক অবসাদের কথা লেখা রয়েছে । সুইসাইড নোটে লেখা , জীবনের প্রতি আসক্তি হারিয়ে গিয়েছিল । স্বামী বেঙালুরুতে থাকেন । মার্চ থেকে দেখা হয়নি । একথা বন্ধু বা রুমমেটদের একাধিকবার মানসী জানিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে ।
সম্প্রতি হোস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে – এদিন সকালে সোয়া ৯টা নাগাদ বন্ধুদের ফোন করেন মানসী । বছর ছাব্বিশের জুনিয়র ডাক্তার বন্ধুদের তখন জানান যে তিনি এখনই কলেজে যাচ্ছেন না । কয়েকটা ওষুধ খেয়ে তারপর যাবেন ।
কিন্তু তারপর আর তাঁকে কলেজে আসতে না দেখে , শুরু হয় খোঁজাখুঁজি । হস্টেলের ঘরে খোঁজ করতে এসে ঘরের দরজা খুলতে পারেন না লেডিস হস্টেলের সুপার । বিষয়টি তিনি তখনই কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। সেইসময় এই ডেন্টাল কলেজকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে তৈরির জন্য বৈঠক চলছিল ।
সুপারের কাছ থেকে খবর পেয়েই বৈঠক ছেড়ে সকলে ছোটেন লেডিস হস্টেলে । খবর দেওয়া হয় এন্টালি থানায় এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে ওই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ।
পুরুলিয়ার বাসিন্দা মানসী মণ্ডল নর্থ বেঙ্গল ডেন্টাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন । পরে তিনি ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারির জন্য স্নাতকোত্তর কোর্স করতে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে সুযোগ পান । এখানেই পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি অর্থাৎ পিজিটি হিসেবে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন ।

সৌজন্যে : Zee News