সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার দিনভর শহর দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি বেসরকারী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের মূল গেটে ওই সমস্ত স্কুল গুলির বর্ধিত স্কুল ফি ও বাৎসরিক ভর্তি ফি অস্যভাবিক হারে এই করোনা সংকটের সময় ওই সমস্ত স্কুল গুলি যেভাবে বৃদ্ধি করে স্কুলে পাঠরত পুড়ুয়াদের অভিভাবকদের থেকে বলপূর্বক চাইছিলো , তারই প্রতিবাদে দুর্গাপুরের অভিভাবক সমন্বয় কমিটি একাধিকবার প্রতিবাদ করে আসছিলো এই আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই | একইসাথে রাজ্য সরকারও স্কুলগুলির এইরূপ আচরণকে কখনোই মেনে নেয়নি , তাইতো রাজ্য সরকার একাধিক বার স্কুল কতৃপক্ষগুলির কাছে এই সংকটকালীন সময়ে অভিভাবকদের পাশে থাকার আবেদনও জানিয়েছিলেন | কিন্তু স্কুল গুলি কোনও ভাবেই সরকারের এই আবেদনকে গ্রাহ্য নাকরে একপ্রকার তুঘলকি আচরণ করে গেছেন অভিভাবকদের সাথে |

তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অভিভাবকেরা দুর্গাপুরের পাঁচটি স্কুলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে | কিন্তু স্কুলগুলি কোনও ভাবেই অভিভাবকদের কাতর আবেদনে কর্ণপাত করেনি , তাদের সাথে একপ্রকার বিমাতৃসুলভ আচরণ ক্রমাগত করেই গেছে সারাটা দিন ধরেই | তাই অভিভাবকেরা অবশেষে দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর ডিএভি স্কুলের সামনে সকাল থেকে অবস্থান বিক্ষোভে একপ্রকার অনড় থাকে | একইসাথে ডিএভি স্কুলের প্রিন্সিপাল ও তেগবাহাদুর স্কুলের প্রিন্সিপালকে সাথে ডিএভি স্কুলের অন্যান্য স্টাফদেরকেও স্কুলের ভিতর প্রায় ১০ ঘন্টা আটক করে রাখে অভিভাবকদের এই ন্যায্য দাবীর ভিত্তিতে | অবশেষে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিএভি স্কুলে পোঁছয় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছোয় এসিপি (পূর্ব) স্বপন দত্ত, পৌঁছন ডেপুটি ম্যাজেস্ট্রেট। পুলিশের সাথে একপ্রকার বচসাতেও জড়ান অভিভাবকরা । এরপর দফায় দফায় আলোচনা চলতে থাকে অভিভাবকমন্ডলী ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে। কিন্তু কিছুতেই মিলছিল না সমাধানের রাস্তা। এরপর আগামী ৪ আগস্ট একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আশ্বাস দেওয়া হলে , দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর নিজেদের আন্দোলন সাময়িকভাবে আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নেন ওই অভিভাবকরা ।