সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্ক : গত মে মাসের 20 তারিখ আমফান ঝড়ে পানিহাটি শ্মশানের গ্যাস বেড়ানোর যে বড় পাইপ যা দিয়ে ধোঁয়া বের হয় সেই পাইপটি ভেঙে পড়ে যায় তারপর থেকে পানিহাটি শ্মশান ঘাট বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি হয়ে গেল এখনো পর্যন্ত পানিহাটি শ্মশান ঘাট চালু করতে পারলো না পানিহাটি পৌরসভা। পানিহাটি শ্মশান সবচেয়ে পুরনো শ্মশান ঘাট যা শুরু হয়েছিল 1975 সালের 11 জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই চুল্লিটি। তারপরে বামফ্রন্ট সরকারের সময় দ্বিতীয় চুল্লিটি বসানোর কাজ শুরু হয়, বামফ্রন্ট সরকার এবং পৌরসভা চলে যায় তৃণমূল সরকার আসার পরে।
22/9/2018 সালে দ্বিতীয় চুল্লিটি চালু হয় কিন্তু পৌরসভা অপদার্থতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দুটি চুল্লি থাকা সত্ত্বেও কোনোটি কাজ করছে না, যার ফলে সাধারণ রোগী বা সাধারণভাবে মানুষের মৃত্যু হলে বা করোনা আক্রান্তে মৃত পোড়ানো যাচ্ছেনা এই শ্মশানে। চাপ বাড়ছে কামারহাটি খড়দা টিটাগর শ্মশানের উপরে এই শ্মশানের উপরে বিরাট একটা অঞ্চল নির্ভর করে, বারাসাত মধ্যমগ্রাম নিউ ব্যারাকপুর বিশরপাড়া বিলকান্দা সহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এর উপরে নির্ভর করতে হয়। টেন্ডার ডাকা হয়েছিল 11 লক্ষ টাকা সারাতে খরচা হবে শ্মশানে যে বড় গ্যাসের পাইপ কিন্তু পরবর্তীকালে তার খরচ বেড়ে যাওয়ায় আবার নতুন করে এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে টাকা বাড়ানোর জন্য কেএমডিএ তে বেটিং এস্টিমেট হয়ে গেছে টেন্ডার ডাকা হয়েছে কিন্তু এখনো টেন্ডারের একজন বাদে কেউ এটেন্ড করেনি আবার সেই টেন্ডার এক্সটেনশন করে সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। সরকারি নিয়মে তিনজন টেন্ডার এটেন্ড না করলে টেন্ডার দেওয়া যায় না সেই কারণেই কাজ শুরু করা যাচ্ছে না এর মধ্যে দিয়ে বোঝা যায় যে এই কাজের মধ্যে কোথাও একটা কাটমানি খাওয়া বা কোথাও একটা ঘুষ দেওয়া টাকা-পয়সা লেনদেনের জন্যই এখনো পর্যন্ত পানিহাটি শ্মশানটা চালু করতে পারল না পানিহাটি পৌরসভা। পানিহাটিতে এত উন্নয়ন হচ্ছে নাকি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পানিহাটি জুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার চলছে সেই জোয়ারের উন্নয়নের অবস্থা এটাই যে দীর্ঘদিন ধরে শ্মশানটা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে সেটা চালু করতে পারল না এই ব্যর্থতার জন্য এখন সাধারণ মানুষ সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এখন দেখার ঘটা করে উদ্বোধন করা নতুন শ্মশানের চুল্লি কতদিনে সাধারণ মানুষের জন্য আবার চালু হয় অপেক্ষায় থাকতে হবে চোখ রাখতে হবে সেদিকেই।