সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্ক : দুর্গাপুর শিল্পনগরী এখন চোরেদের স্বর্গরাজ্য। কয়লা, লোহা তো ছিলই ; তার সাথে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে বন্ধ কলকারখানার সম্পত্তি ভেঙ্গেচুরে লুটপাট। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিচ্ছে পুলিশ ও শাসকদলের স্থানীয় নেতারা।
বাম আমলে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল ৫৬ হাজার কারখানা বন্ধের,অথচ বর্তমানেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হল না,পুরোন কারখানা খোলা বা নতুন কারখানা স্থাপন তো হলোই না উল্টে চালু অনেকগুলি কারখানা বন্ধ হয়ে গেল। এম,এ,এম,সি, বা হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজার আধুনিকিকরন বা বন্ধ হয়ে যাবার পর তা খোলার জন্য কোন আন্দোলন সরকার বা শাসক দলের পক্ষ থেকে দেখা গেল না। একসময় বামফ্রন্টের উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল বহু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প,যাতে গতি পেয়েছিল দুর্গাপুরের অর্থনীতি।
২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর দুর্গাপুরে আর নতুন শিল্পস্থাপন তো দূর অস্ত, চালু শিল্পগুলোই অস্তিত্বের সংকটে ভুগতে লাগলো । কাটমানি, তোলাবাজির চাপে ধু্ঁকতে থাকা কারখানা গুলির অনেকগুলিই বন্ধ হয়ে গেল। চালু হয়ে গেল লুঠ ও চুরি শিল্প। শাসক নেতাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদতে, পুলিশকে তোলা দেওয়ার বিনিময়ে অঙ্গদপুর শিল্পতালুক, লেনিন সরণি শিল্পতালুক, বার্ন কোম্পানী, স্যাঙ্কি হুইলস, জেশপ, হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজার এম,এ,এম,সি-এর মুল্যবান যন্ত্রপাতি, কাঠ, ইঁট লুঠ হতে লাগলো। এমনকি উধাও হয়ে গেল এ,বি,এলের রেলপথ। এর পর হাত পড়তে শুরু করলো ফার্টিলাইজার কলোনী, এম,এ,এম,সি কলোনী, স্যাঙ্কি কলোনীর পরিত্যক্ত আবাসন গুলিতে। লোপাট হতে শুরু করলো দরজা, জানলা,গ্রীল সবকিছুই। এবার শুরু ইঁট চুরি। আবাসনের ইঁট ভেঙ্গে, সাজিয়ে গুছিয়ে চলছে ইঁট বিক্রি। সবটাই প্রকাশ্যে, শাসকদলের নেতা আর পুলিশের মদতে, সবার চোখের সামনে। দুর্গাপুর শিল্পনগরী ধীরে ধীরে পরিনত হচ্ছে শেয়াল শকুনে খুবলে খাওয়া লাশের কঙ্কালে।