সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্ক : শহর দুর্গাপুর এমনকি পাশের জেলা বাঁকুড়া থেকে দামোদর নদের তীরে দুর্গাপুর বিরভানপুরে একমাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লির মহাস্মশানের প্রত্যেকদিন প্রায় অজশ্র সংখক শবদাহ দাহ করার জন্যে নিয়ে আসে শবযাত্রীরা | আর যদি এই বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল হয়ে পরে থাকে , তবে ভাবতে পারছেন দুর্ভোগের সীমা কোথায় পৌঁছয় | দুর্গাপুরের এই মহাস্মশানের দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি আছে | তার মধ্যে একটি চুল্লি বহুদিন ধরেই বিকল অবস্থায় পরে রয়েছে | আর একটি চুল্লি ক্রমাগত চলার ফলে প্রচন্ড চাপে বাড়ে বারেই বিকল হয়ে যায় | যার ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃতদেহ সৎকার করতে এসে প্রায়শই সংকটের মধ্যে পড়তে হয় শবযাত্রীদের | মৃতদেহ সৎকার করতে আসা এক শবযাত্রী জানিয়েছেন যে সম্প্রতি কাঠের থেকে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে মৃতদেহ সৎকারের খরচ বেশ অনেকটাই কম | আর সেই কাজ যদি কাঠে করা হয় , তবে তার খরচ প্রায় তিনগুন বেড়ে যায় |
তাই এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের ক্ষেত্রে কাঠে দাহকাজ করাটা খুবই কষ্টকর হয় | দুর্গাপুরের এই চুল্লিটির একাধিকবার বিকল হয়ে যাওয়ার কথা শ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার দুর্গাপুর নগর নিগমে মহানাগরিকে জানানো হয় | কিন্তু এই বিষয়টিতে এযাবৎ কাল পর্যন্ত দুর্গাপুরের মহানাগরিক কোনও প্রকার কর্ণপাত করেননি | এই অভিযোগটি বর্তমান শাসক দলের এমনকি দুর্গাপুরের অনেক প্রভাবশালী নেতারাও একাধিকবার দুর্গাপুরের মহানাগরিককে জানিয়েছেন | কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা এযাবৎকাল পর্যন্ত হয়নি | অনুরূপ রবিবার ফের দুর্গাপুর মহাস্মশানের এই চুল্লিটি বিকল হয়ে যাওয়াতে চরম দুর্ভোগে পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃতদেহ সৎকার করতে আসা শবযাত্রীরা | এখন একটাই প্রশ্ন দুর্গাপুর তথা তার পারিপার্শিক এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে বার বার উদয় হচ্ছে যে আর কতদিন মানুষ এই দুর্গাপুর মহাস্মশানের চুল্লির বিভ্রাটে পরে দূরদূরান্ত থেকে মৃতদেহ সৎকার করতে এসে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হবে | তাই অধিকাংশ দুর্গাপুরের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের দুর্গাপুর পৌরসভার কাছে বিনীত আবেদন যে গোষ্ঠীকোন্দল একইসাথে নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ভুলে যতো তাড়াতাড়ি হউক দুর্গাপুর মহাস্মশানের এই বৈদ্যুতিক চুল্লিটিকে মেরামত করা হউক | এতে সাধারণ মানুষ খুবই উপকৃত হবে এমনটাই আশা করা যায় |