সংবাদ ভাস্কর নিউজ ডেস্ক : অনেক দিন গৃহবন্দি থেকে মুখে মাক্স পরে, সমস্ত রকম প্রোটেক্সান নিয়ে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন অনেকে।
লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা, আপোষহীন, সংগ্রামী লড়াকু নেতা অধীর চৌধুরীর নির্দেশে একসময়ের বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের দালাল অধুনা ভারতের মসনদে অধিষ্টান বিজেপির জনবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে। দেশ অর্থনৈতিক সুনামীর দিকে চলেছে, জিডিপি গ্রোথ নিম্নগামী, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প গুলি বেসরকারী করন করা হচ্ছ দ্রুতগামী ভাবে, ব্যাঙ্ক, বীমা, কয়লাও বেসরকারীর পথে, বেকারত্বে হার আকাঁশ ছোঁয়া দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি মানুষের নাগালের বাইরে। মানুষের হাতে টাকা নেই। এই অবস্তায় জাতীয় কংগ্রেস কর্মীরা যদি প্রতিবাদ না করে তাহলে মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না, এই ছিল তাদের বক্তব্য।
আজ বেলা ১২টায়, হাজরা মোড়ে জমায়েত হয়ে পায়ে পা মিলিয়ে ইন্দিরা গান্ধী আবক্ষ মূর্তির সামনে গিয়ে সভা করেন, জনবিরোধী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রদর্শন করার প্রতিবাদ তারা করে।
আজ ৯ই আগস্ট, রবিবার ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বর্ষপূর্তি। এই দিনটি স্মরনীয় করতে দঃ কলতাতা জেলা কংগ্রেসের কর্মীরা বেলা ১২টায় হাজরা মোড় থেকে ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য মিছিল সংগঠিত করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ বিক্রী করার পরিকল্পনা করছে, রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পর, দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরনের লক্ষে কষ্টার্জিত এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু যে সমস্ত রাষ্টায়ত্ত শিল্প স্হাপন করেছিলেন, এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীরা সেগুলো এগিয়ে নিয়ে আরও বড় আকারে পরিনত ও বাস্তবায়িত করেছিলেন, আজ সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলো মোদিজী বিক্রী করতে উদ্ধত হয়েছেন।
পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ব্যাঙ্ক এবং কয়লা খনি রাষ্ট্রায়ত্তকরন করেছিলেন। মোদিজী আজ সেই সব প্রতিষ্ঠান গুলো বেসরকারী করন করে চলেছেন। এই জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে “মোদিজী ভারত বিক্রী বন্ধ করো” ব্যানার নিয়ে হয় কংগ্রেসের প্রতিবাদী মিছিল, মিছিলে নেতৃত্ব দেন প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য জাহীদ হোসেন, সুবীর চৌধুরী, এ.আই.সি.সি সদস্য পলাশ ভান্ডারী, মনোরঞ্জন হালদার, রানা রায় চৌধুরী প্রমুখ।