প্রিয়াঙ্কা আইচ ভৌমিক , সংবাদ ভাস্কর বিনোদন ডেস্ক : গোয়া থেকে গ্রেফতার রোদ্দুর রায়। মঙ্গলবার লালবাজারের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছে তাঁকে। আগামীকাল কলকাতায় নিয়ে আসা হবে রোদ্দুর রায়কে। যদিও এই নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে।
চিৎপুর, পাটুলি থানা সহ একাধিক থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু করা হয়েছিল একাধিক মামলা। সেই মামলার তদন্তে নেমেই গ্রেফতার করা হল রোদ্দুর রায়কে।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে এক অনুষ্ঠানের পর আচমকাই প্রয়াত হন বলিউডের গায়ক কেকে। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
কিন্তু তাঁর এই মৃত্যু ঘিরে রয়েছে নানা বিতর্ক। একদিকে রয়েছে নানা গাফিলতির অভিযোগ, অন্যদিকে চলছে রাজনৈতিক তরজা। নজরুল মঞ্চে দর্শক আসনের থেকে বেশি সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি, এসি না চলা, স্টেজে ভিড় করা সহ একাধিক প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এই ঘটনায়। কেকের মৃত্যু প্রসঙ্গেই একটি ফেসবুর লাইভ করে রোদ্দুর রায়।
কয়েক মিনিটের ওই ফেসবুক লাইভে রোদ্দূর মুখ্যমন্ত্রী মমতা সম্পর্কে বাজারচলতি কিছু অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ।
বিভিন্ন সময় একাধিক ভিডিয়োর জন্য শিরোনামে এসেছেন রোদ্দুর রায়। শনিবার চিৎপুর থানায় এই ইউ টিউবারের নামে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
তাঁর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। এবার জানা গিয়েছে, গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এই মন্তব্য করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক তৃণমূল নেতা। এই অভিযোগ দায়ের করে ওই নেতা বলেন, “সম্প্রতি সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তিনি। আর সেই কারণেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি তাঁর ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। ৩৭ মিনিটের সেই লাইভে তিনি বলেছেন, দু’বছর আগে তিনি একটি কেস খেয়েছিলেন। সেই লাইভে তিনি মমতার লেখা কবিতা নিয়েও বক্রোক্তি করেছেন।
তৃণমূলের মুখপাত্র ঋজুর অভিযোগ, রোদ্দূর সাম্প্রতিককালে নেটমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও অভিষেক সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি, আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ কলকাতা ও রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনকেও।তৃণমূল মুখপাত্র ঋজুর অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, রোদ্দূর নিয়মিত ভাবে এই কাজ করে থাকেন। আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে তিনি রাজ্যকেও অপমান করেন। নেটমাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ চেয়ে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন অভিযোগকারী।